আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ একটি বিশালাকৃতির শকুন ‘ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে’- এই অভিযোগে তাকে কয়েকদিন আটকে রাখার পর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দিয়েছে লেবানন।সন্দেহের কারণ, শকুনটির লেজে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র লাগানো ছিল।
ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ জানায়, যে শকুনটি লেবাননের গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছিল অবশেষে তা তারা ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার লেবাননের একটি গ্রামের বাসিন্দারা শকুনটি আটক করে। পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি চওড়া ডানাবিশিষ্ট এই শকুনটি ইসরাইলের একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষাণাগার থেকে লেবাননে উড়ে যায়।
পরবর্তীতে সেখানকার গ্রামবাসীরা ‘গোয়েন্দা’ সন্দেহে এটিকে আটক করে। শকুনটির লেজে একটি যন্ত্র সংযুক্ত থাকায় এটিকে সন্দেহ করে তারা।
ইসরাইলের বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি ছিল তাদের অভয়ারণ্যে সংরক্ষিত একটি শকুন। মধ্যপ্রাচ্যে শকুন পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটিকে গত বছর স্পেন থেকে আনা হয়েছিলো।
ইসরাইলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মূলত পাখিটিকে নিয়ে গবেষণা করছিল। আর এ কারণেই এর পাখায় ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্থান শনাক্তকারী একটি ‘জিপিএস ট্রান্সমিটার’ লাগানো ছিল এবং পায়ে ‘তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল’ লেখা সংবলিত একটি ধাতুর রিং ছিলো।
ইসরাইলী ‘গুপ্তচর’ সন্দেহে শকুন আটকের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মনে করে শকুন আটকের ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালের সউদি আরবের মরু শহর হাইয়াল-এ আরেকটি শকুন ধরা হয়েছিল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ শকুন দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই